Tuesday, October 28, 2025

মুক্ত লেখনী

প্রধান ম্যেনু

সাহিত্য পত্রিকা

অক্সফোর্ডের অধ্যাপক থেকে পথের বাসিন্দা

শাহিদুল ইসলাম: আজ আমির তো কাল ফকির। চিরায়ত এই প্রবাদটি এখন রাজা সিংয়ের জীবনে বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে। ছিলেন বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেখানে অধ্যাপনা করেছেন বলে তার দাবি। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে পরবর্তী সময়ে তাকে বসবাস করতে হচ্ছে ভারতের দিল্লির রাস্তায়।

১৯৬০ সালের গোড়ার দিকে ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে ফিরে আসেন রাজা সিং। দুই ভাই মিলে শুরু করেন মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ব্যবসা। ভালোভাবে ব্যবসা শুরু করলেও কিছুদিন পর তার ভাই মারা যান। ফলে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া হয়ে যান তিনি। এদিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে সন্তানদের তিনি বিদেশে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন তারাও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অসহায় বাবার খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয়।

সব হারিয়ে রাজা সিংয়ের ঠাঁই হয় দিল্লির রাস্তায়। চলতে থাকে যাযাবরের জীবন। আজ বস্তিতে তো কাল রেল স্টেশনে। কখনো ভিক্ষা করে আবার কখনো মানুষের টুকিটাকি কাজ করে যা পান তাই দিয়ে গত চল্লিশ বছর তিনি টেনে চলেছেন ব্যর্থ জীবনের বোঝা।

রাজা সিং এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। চলতি মাসের ২১ তারিখ তার এই অসহায় অবস্থার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন দিল্লিতে বসবাসকারী অবিনাশ সিং। কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারবার শেয়ার হয় ভিডিওটি।

ফেসবুকে প্রচুর লোক তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বর্তমানে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ছিয়াত্তর বছর বয়সি এই ভাগ্যহত শিক্ষক।

অন্যরা এখন যা পড়ছেন

সাপে কাটা স্ত্রীকে বাঁচাতে গোবর চাপা

শাহিদুল ইসলাম : ভারতের একটা বড় অংশের মানুষের কাছে গোবর অত্যন্ত পবিত্র। গোবরের নানা রকম আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে তাদের মধ্যেবিস্তারিত পড়ুন

ভূতের সঙ্গে বিয়ে!

শাহিদুল ইসলাম : সাধারণত মানুষের সঙ্গে মানুষের বিয়ে হয়ে থাকে। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন ভূতের সঙ্গে মানুষের বিয়ের কথা। শুনতেবিস্তারিত পড়ুন

কুকুরের আদরে বড় হচ্ছে হাঁসের বাচ্চা

শাহিদুল ইসলাম: হাঁস ও কুকুরের মধ্যে সাধারণত বন্ধুত্ব হয় না। উল্টো কুকুর দেখলে ভয়ে দৌড়ে পালায় হাঁসের দল। কিন্তু এইবিস্তারিত পড়ুন