লেখক পরিচিতি
আমিনুল ইসলাম মামুন

আমিনুল ইসলাম মামুন বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত সাহিত্যিক ও সাহিত্য সাংবাদিক। জন্ম ১৯৭৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ল²ীপুর জেলাধীন রামগঞ্জ থানার পূর্ব বিঘা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতা মরহুম আলহাজ মাওলানা এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ছিলেন সরকারী কর্মকর্তা। মাতা আলহাজ শামসুন নাহার একজন সুগৃহিনী। তার দাদা মরহুম মৌলভী আবদুল লতিফ ভুঁইয়া, দাদী মরহুমা মরিয়মুননেছা এবং নানা মরহুম হাফেজ বশির আহমেদ, নানী মরহুমা বদরুন্নেছা। চার ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
আমিনুল ইসলাম মামুন ১৯৯৪ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে নোয়াগাঁও জনকল্যান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এস এস সি, ১৯৯৬ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচ এস সি, ১৯৯৯ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও ২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ সালে অর্জন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহানগর ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। ২০০৬ সালে ইনষ্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের-এর অধীনে জে ইউ আহমেদ এন্ড কোং থেকে শেষ করেন তিন বছর মেয়াদী কোর্স (সি এ – সি সি)। ২০১৩ সালে আয়কর আইনজীবী হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভূক্ত হন। একই বছর বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটি (বি আই ইউ) থেকে এ গ্রেডে (প্রথম শ্রেণি সমমান) এম বি এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
অধিকতর সুন্দর ও সৃষ্টিশীল সমাজ বিনির্মানের উদ্দেশ্যে তার লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে সাপ্তাহিক ‘জনতার ডাক’ পত্রিকায়। কৈশোরে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে নিজ ও আশপাশের এলাকায় তাঁর বেশ পরিচিতি ছিল। পেশাগত জীবনে তিনি একটি গ্রুপ অব কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তার ১৪টি গ্রন্থ। গ্রন্থগুলো হচ্ছে দুষ্টু ছেলের দল (ছড়া-২০০৪), কানামাছি (ছড়া-২০০৭), মন ছুঁয়েছে মন (উপন্যাস-২০০৯), শিকল ভাঙার ছড়া (ছড়া-২০১০), এক জীবনের গল্প (উপন্যাস-২০১২), তারা জ্বলে কথা বলে (ছড়া-২০১৪), পরীর নাম লজ্জাবতী (শিশুতোষ গল্প-২০১৫), ভূত দেখেছি কয়েকবার (শিশুতোষ গল্প-২০১৫), ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা (ছড়া-২০১৬), ঘুড়ির মাঠে আয় রে সবে (ছড়া-২০১৬), ঝুমঝুম রেলগাড়ি (ছড়া-২০১৬), হৃদয় ভাঙা একশ ছড়া (ছড়া-২০১৭), বিড়াল ও তেলাপোকা (শিশুতোষ গল্প-২০১৭) এবং রহস্যময় পেন্সিল (শিশুতোষ গল্প-২০১৮)। ভ্রমণ তার শখের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, অনুবাদ, প্রবন্ধ, ফিচার, গান, গ্রন্থালোচনা প্রভৃতি বিষয়েই লিখছেন।
আমিনুল ইসলাম মামুন এক বা একাধিকবার বাংলাদেশের যে সকল জেলা ভ্রমণ করেন সেগুলোর মধ্যে কর্মস্থল রাজধানী- ঢাকা, জন্মস্থান ও পৈত্রিক নিবাস- লক্ষ্মীপুর এবং বর্তমানে স্থায়ী আবাস জেলা- নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও রয়েছে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাপাই নবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, চট্রগ্রাম, গাজীপুর প্রভৃতি।
তিনি সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিন তুষারধারা’র সম্পাদক, বাংলা ভাষা ও দেশের প্রথম সাহিত্য বিষয়ক অনলাইন নিউজ পোর্টাল তুষারধারা ডট কম-এর (www.tushardhara.com) সম্পাদক, টুপটাপ-এর (শিশুতোষ ম্যাগাজিন) সাবেক সহ-সম্পাদক, ত্রিশাল প্রতিদিন ডট কম (www.tushardhara.com)-এর উপদেষ্টা সম্পাদক এবং সম্পাদনা পরিষদ সদস্য- চন্দ্রাবতী শিশুসাহিত্য সম্মেলন ২০১৭ উপলক্ষে বিশেষ প্রকাশনা। আমিনুল ইসলাম মামুন তুষারধারা নামক গ্রন্থ প্রকাশনা সংস্থাটিরও স্বত্ত¡াধিকারী। তিনি বাংলা একাডেমির সদস্য, জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন আবাবীলের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক, প্রতিষ্ঠাতা- সন্তান দিবস (১৫ নভেম্বর), প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক- তরুণ লেখক ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- বাংলা সাহিত্য কেন্দ্র, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- অনলাইন রাইটার্স ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- এইম স্পোর্টিং ক্লাব, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- ফমাসিক সাহিত্য সংসদ (ফতুল্লা-মাতুয়াইল-সিদ্ধিরগঞ্জ-কদমতলী এলাকার একটি সাহিত্য সংগঠন), প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- রামগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক একাডেমি, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উদ্যোক্তা- লিটল ম্যাগাজিন একাডেমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ লেখক পরিষদ, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক- কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক- বাংলাদেশ শিশুসাহিত্যিক ফোরাম, আয়োজক সদস্য- চন্দ্রাবতী শিশুসাহিত্য সম্মেলন ২০১৭। তিনি ৩০ এপ্রিল ২০১০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী উম্মে ফারজানা ফেরদৌস (আইরিন) একজন সুগৃহিনী ও কন্যা আমরিন মাহনূর (মানহা) স্কুলে অধ্যায়নরত। সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছেন আবাবীল সাহিত্য সম্মাননা-২০০৯, প্রতিভা প্রকাশ লেখক সংবর্ধনা ২০১১, দানবীর হাজী মোহাম্মদ মুহসিন সম্মাননা-২০১১, মধ্যমণি- ম্যাজিক লণ্ঠন (৪৫০তম আড্ডা), মানব কল্যাণ পরিষদ লেখক সম্মাননা-২০১৪, রায়পুর তরুণ ও যুব ফোরাম বিশেষ সম্মাননা, স্বপ্নসিঁড়ি সাহিত্য সম্মাননা-২০১৫, মধ্যমণি- অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ (৩৯তম আড্ডা), সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের জন্য আবাবীল সেরা কর্মী-২০১৫ পদক, দুর্জয় বাংলা সাহিত্য সম্মাননা-২০১৫, বাংলাদেশ লেখক পরিষদ অভিনন্দনপত্র, বাংলাদেশ লেখক পরিষদ স্মারক সম্মাননা, স.ম. শামসুল আলম ৫৫ জন্মোৎসব সম্মাননা, বাংলাদেশ লেখক পরিষদ কর্তৃক ৪১তম জন্মদিন সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা।
আমিনুল ইসলাম মামুন বাংলাদেশের লেখকদের স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের রয়্যালিটি নিশ্চিত করার ব্যাপারে ২০০৮ সালে বাংলা একাডেমির কাছে লিখিত প্রস্তাব করেন যা উক্ত একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘বার্ষিক সাধারণ সভা ২০০৮ বিবেচনার জন্য প্রাপ্ত প্রস্তাব ও কর্তৃপক্ষের জবাব’ (পৃষ্টা নং-৭ , প্রস্তাব নং-৭) পুস্তিকায় স্থান পায়; যেখানে বলা হয় ‘‘… বই মেলায় স্টল বরাদ্দের সময় এই তথ্য নেয়ার জন্য যে, আবেদনকারীর প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত বইয়ের কয়জন লেখককে সম্মানী প্রদান করা হয়েছে এবং যদি প্রদান করা হয় তাহলে তাদের (লেখকদের) স্বাক্ষরসহ তা একাডেমীর কাছে উপস্থাপন করা এবং শতকরা ৭০ ভাগ বইয়ের লেখককে সম্মানী প্রদান করা না হয়ে থাকলে তাদেরকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া।…’’ এ প্রস্তাবের পর অনেক লেখকের সমর্থন অর্জন করেন এবং ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রস্তাবকের নাম উল্লেখপূর্বক ‘বাংলা একাডেমীর সভা থেকে’ শিরোণামে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক ফখরুজ্জামান চৌধুরী সম্পাদকীয় পাতায় একটি কলামও লেখেন।
অবশেষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ উপলক্ষে স্টল বরাদ্দের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রকাশকদেরকে লেখক-প্রকাশক চুক্তি ও রয়্যালিটি প্রদানের প্রমাণপত্র দাখিলের বিষয়টি বিধিমালায় অন্তর্ভূক্ত করা হয় যা লেখকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বাক্ষর বহন করে।
বাংলাদেশের লেখকদের স্বার্থ সংরক্ষণে উল্লেখিত বিষয়ে বাংলা একাডেমির কাছে সম্ভবত: এটিই প্রথম লিখিত প্রস্তাব।
তিনি কবিতা / ছড়ায় ছন্দের নতুন শাখা ‘ক্রমছন্দ’ (ক্রমযোগ ছন্দ ও ক্রমহ্রাস ছন্দ), কবিতার নতুন প্রকরণ ‘বিন্দু কবিতা’ বা ‘ডট পোয়েম’ (আদি ও অন্ত্যমিল সম্পন্ন শিরোণামহীন পাঁচ শব্দের কবিতা) এবং সাহিত্যের নতুন শাখা ‘শিল্পিত সাহিত্য’র (শিল্পিত ছড়া) প্রবর্তন করেন। তার উদ্ভাবিত শব্দ ‘চলনালাপনী’ (মোবাইল ফোনের বাংলা প্রতিশব্দ) এখন অনেকের কাছেই পরিচিত। তার লেখা বিভিন্ন সময় বেতারে প্রচারিত হয়েছে।
অন্যরা এখন যা পড়ছেন
শ্রেষ্ঠ মানব
শ্রেষ্ঠ মানব এম.শরীফ হোসেন শ্রমিক তোমার ঘামে ভেজা ইটের এ শহর, তোমার দেয়া রক্ত শ্রমে আমি স্বার্থপর। তুমি মহান শ্রেষ্ঠবিস্তারিত পড়ুন
এম. শরীফ হোসেন
এম. শরীফ হোসেন ১৯৮৪ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন কান্দাইল (রশিদেরবাড়ী) গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মো: চাঁনবিস্তারিত পড়ুন
ঈদের দিন
ঈদের দিন শহীদুল ইসলাম মামুন সবার মনে রঙ লেগেছে রোজা শেষে আজ ঈদ, ছোট বড় সবাই মিলে গাইছে আজ খুশিরবিস্তারিত পড়ুন


