Wednesday, October 29, 2025

মুক্ত লেখনী

প্রধান ম্যেনু

সাহিত্য পত্রিকা

উত্তম আদর্শ

আকিদুল ইসলাম সাদী

বহু কষ্ট ও ত্যাগের পর মক্কা বিজয় হলো। নবীজির জন্মস্থানে পতপত করে উড়তে লাগলো ইসলামের বিজয়ী ঝাÐা। সকলের প্রতি সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা করা হলো। ফলে ইসলামের দিক্ষায় দিক্ষিত হলো অনেকে। মুসলমানদের ভয়ে মক্কা ছেড়ে অনেকে আবার আত্মগোপনও করলো। বাঁচানোর চেষ্টা করলো নিজেদেরকে।
জৈনক একজন বৃদ্ধাও ছিলো এমন দলে। নবীজির ভয়ে তিনি মক্কা ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সাথে নিয়েছেন কয়েকটি পুটলি, যার ফলে তিনি জোরকদমে হাঁটতে পারছেন না। তাই স্বগোত্রীয় লোকেরা তাঁকে ফেলে রেখেই চলে গেছে। ধীর কদমে হেঁটে চলেছেন বৃদ্ধা। পুটলিগুলো নিয়ে হাঁটতে যদিও তাঁর কষ্ট হচ্ছে, তবুও হাঁটতে হবে। নইলে নবীর বাহিনী তাঁকে ছাড়বে না। একসময় তাদেরকে মক্কাবাসী কতো কষ্ট দিয়েছে! আজ কি তাঁরা ছেড়ে দিবে? বৃদ্ধা মনে মনে এমনটা ভাবছে আর হাঁটছে।
আরও কতো দূর হাঁটতে হবে কে জানে! যতোক্ষণ গন্তব্যে না পৌঁছে ততোক্ষণ হেঁটে যেতেই হবে। বৃদ্ধা আপন মনে এগিয়ে চলেছে পাহাড়ের দিকে। হঠাৎ করে পিছন থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলো। “বুড়িমা পুটলিগুলো নিতে আপনার খুবই কষ্ট হচ্ছে। ওগুলো আমার কাছে দিন আর বলুন কোথায় যাবেন! আমি ইনশাআল্লাহ পৌঁছে দিবো”। বৃদ্ধা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো সুদর্শন একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। কথাগুলো নিঃসৃত হয়েছে তাঁর মুখ থেকেই। বৃদ্ধা পুটলিগুলো না দিতে চাইলেও জোরপূর্বকভাবে তাঁর কাধে তুলে নিলো। চলতে লাগলো বৃদ্ধার সাথে সাথে।
দুজনে হাঁটছে আর গল্প করছে। একপর্যায় বৃদ্ধা তাঁর পালিয়ে আসার কারণ বললো। “আাব্দুল্লাহর পুত্র মোহম্মদের ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছি বাবা। শুনেছি সে নাকি খুবই অত্যাচারি। একসময় মক্কার লোকেরা তাঁর উপর খুব অত্যাচার করেছে। কষ্ট দিয়েছে তাঁকে। আজ মক্কা তাঁর দখলে। সুতরাং সে কাউকে ছাড়বে না”। লোকটি বললো, বুড়িমা আপনি কি মোহম্মদকে চিনেন? কখনও কি দেখেছেন তাঁকে? বৃদ্ধা জবাব দিলো, না দেখি নি, তবে লোক মুখে শুনেছি তাঁর অত্যাচারের কথা।
এভাবে গল্প করতে করতে বৃদ্ধা একসময় পৌঁছে গেলো তাঁর নির্দিষ্ট স্থানে। এবার চলে যাবে স্বগোত্রীয় লোকদের নিকট। তবে এতক্ষণে বৃদ্ধার জানা হয় নি লোকটির পরিচয়। তাই প্রশ্ন করলো, বাবা তুমি কে? তোমার পরিচয় তো জানা-ই হলো না। লোকটি বললো, বুড়িমা আপনি যে আব্দুল্লাহর পুত্র মোহম্মদের ভয়ে এখানে এসেছেন, আমিই হলাম সেই মোহম্মদ। বৃদ্ধার চোখ যেন এবার কপালে উঠে গেলো। যাঁর ভয়ে এখানে আসা, সেই কিনা পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে? এতো সুন্দর আদর্শবান মানুষ সম্পর্কে কীসব-ই না তিনি শুনেছেন! আল্লাহ মাফ করুন!
বৃদ্ধা আর দেরি করলো না। স্বগোত্রীয় লোকদের ডাক দিলো। আহŸান করলো ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে। নিজেও কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে গেলেন। আর ভাবলেন, মোহম্মদ স.-এর মধ্যেই রয়েছে “উত্তম আদর্শ”। সুতরাং তাঁকে অনুস্মরণ করা মানে উত্তম মানুষ হওয়া!

অন্যরা এখন যা পড়ছেন

পুষ্পাবাদকারী

আমিনুল ইসলাম মামুন : আবাদের জন্য সুনিপুণ প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়াটা অত্যাবশ্যক। শীতলতা ছাড়া ভালো ফুল ফোটানো খুব একটা সম্ভব হয়বিস্তারিত পড়ুন

রুপার চোখে জল

আমিনুল ইসলাম মামুন : এই পথে প্রতিদিন সকালে অফিসে যায় আদিত্য। শান্ত চেহারার ছেলেটি সুঠাম দেহের অধিকারী। গায়ের রং উজ্জ্বল।বিস্তারিত পড়ুন

দায়িত্ব ও একটা ভালবাসার গল্প

সেই দিন বাবা খুব চিন্তায় ছিলেন। বাবাকে খুব অস্থির লাগছিল। তিনি এই ঘর ওই ঘর করছিলেন। বাবা খুব চেষ্টা করছিলেনবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষা
  • রহস্যময় রজনী
  • একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ঈদ গল্প!
  • তিন পথিকের গল্প ও বাংলাদেশ
  • রিকশা চালকের ছেলে সজিব; আকিদুল ইসলাম সাদী
  • বাবার চিঠি; আকিদুল ইসলাম সাদী
  • তুমি কেন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারোনি
  • হাইওয়ে || মশিউর রহমান শান্ত
  • পথটি মন্দ হলেও ভালবাসার যোগ্য
  • প্রবাসী | আলাউদ্দিন আদর
  • শেষচিঠি | মহিউদ্দিন মাসুদ রানা
  • ভালো আছি, ভালো থেকো
  • ভালবাসার প্রথম চিঠি!
  • একটি সাদামাটা প্রেমের গল্প
  • শাদা হাতি চুরি-বৃত্তান্ত
  • রুপার চুড়ি মুল্করাজ আনন্দ